এ সময় উপস্থিত ছিলেন সোনাইমুড়ী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দ্বীন আল জান্নাত এবং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক হালিম সরকারসহ পুলিশের একটি দল।তবে পরিবারের আপত্তির মুখে কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করেও শেষ পর্যন্ত মরদেহ উত্তোলন না করেই ফিরে আসেন তারা।
নিহত আলমগীর হোসেন নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার আমিশাপাড়া ইউনিয়নের কাজিরখিল গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবার নাম শাহজাহান। পেশায় তিনি ছিলেন একজন বাসচালক।
জানা গেছে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ঢাকার উত্তরা রাজলক্ষ্মীর সামনে পুলিশের গুলিতে নিহত হন আলমগীর। ঘটনার পর পরিবার মামলা করলে আদালত লাশ উত্তোলন ও ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন।
আলমগীর হোসেনের স্ত্রী হোসনে আরা ঢাকা পোস্টকে বলেন, আলমগীর হোসেন ঢাকায় বাস চালিয়ে সংসারের খরচ চালাতেন। গত ৫ আগস্ট উত্তরা রাজলক্ষ্মীতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন তিনি। তখন আমি ছিলাম সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এরপর গত বছর ২৯ সেপ্টেম্বর আমার কোলজুড়ে আসে আমাদের কন্যা আইরা মনি। জন্মের আগেই বাবাকে হারিয়ে পৃথিবীতে এসেছে সে। এখন তিন সন্তানকে নিয়ে চোখে-মুখে শুধুই অন্ধকার দেখি। সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে প্রতিদিনই অশ্রু ঝরিয়ে কাটছে আমার দিন।
এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক হালিম সরকার ঢাকা পোস্টকে বলেন, আদালতের নির্দেশে আমরা মরদেহ উত্তোলনে গিয়েছিলাম। কিন্তু পরিবারের বাধার কারণে মরদেহ উত্তোলন সম্ভব হয়নি।
সোনাইমুড়ী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দ্বীন আল জান্নাত ঢাকা পোস্টকে বলেন, শহীদ আলমগীরের কবর থেকে মরদেহ উত্তোলনে অনিচ্ছুক। উনারা আমার কাছে একটি ফরমাল আবেদন দিয়েছেন। সেখানে উল্লেখ করেছেন, শহীদ আলমগীর শহীদী মর্যাদা পেয়েছে বিধায় তারা লাশ উত্তোলনে অনিচ্ছুক। এ বিষয়টি আমরা বিজ্ঞ আদালতকে অবহিত করব এবং পরে আদালতের সিদ্ধান্ত মোতাবেক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।